নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নলছিটি থানার ওসি হালিম বলে কথা। তার ঘুষ বাণিজ্যে এখন দিশেহারা গোটা নলছিটি উপজেলার সাধারণ মানুষ। যার ধারাবাহিকতায় অসহায় পরিবারের ভূক্তভোগী পরিবারের বিপক্ষে গিয়ে অভিযুক্ত পরিবারের পক্ষে সাফাই গায় ওসি হালিম। তার ভয়ে অস্থির নলছিটিবাসী। তিনি জমি দখল, বাড়ী দখল, গাছকাটসহ বিভিন্নধরনের অপরাধীদের সাফাই গেয়ে বেড়ায়। ওসি হালিমের ঘুষের দাবীকৃত টাকা দিতে না পারলে নির্যাতন ও হয়রানীর স্বীকার যেন নিত্যদিনের রুটিনে পরিনত হয়েছে নলছিটির সাধারন মানুষের। প্রতিনিয়ত রাত পোহালেই শুরু হয় নানা অনৈতিক ও অবৈধ অর্থ বাণিজ্য। আর ওসি হালিমের এহেন কর্মকান্ডে গোটা উপজেলার অসহায় সাধারণ মানুষ সার্বক্ষনিক আতঙ্কে দিন কাটছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ ডিসেম্বর শুক্রবার ইউসুব, ঝালকাঠী জেলার নলছিটি উপজেলার অসহায় সেকান্দার গাজীর ভোগ দখলীয় সম্পত্তির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মান করে সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী পলাশ, মিঠু, রাব্বী ও পুলিশ সদস্য বশির গাজী। আর এই রাস্তা নির্মানে আইনের লোক হয়ে সম্পূর্ণ বেআইনী ভাবে সহযোগিতা করে ওসি হালিম গাজী। সরেজমিনে ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, নলছিটি থানার ওসি হালিম ও সিদ্ধকাঠী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী জেসমিন অপরাধী ও অভিযুক্তদের পক্ষে সাফাইগেয়ে অসহায় ইউসুফের জামি দখল ও গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে পক্ষপাতিত্ব করে। যার ধারাবাহিকতায় অভিযুক্ত পলাশ, মিঠু, রাব্বী ও বশির গাজী ওসি হালিমের সেল্টারে গাছ কেটে জমি দখল করে রাস্তা তৈরি করে। এ বিষয়ে ভূক্তভোগী ইউসুফ জরুরী পদক্ষেপের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে। উল্লেখ্য, এর আগে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে মরিয়ম বেগম ও আয়েশা আক্তার নামে দুই নারীকে মানসিক নির্যাতন হুমকিসহ টেনে হিচরে দুই বোনকে তাদের নানার ঘরে নিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে নারী নির্যাতনের রেকর্ড করে ডিএমপির মিরপুর মডেল থানার পুলিশ সদস্য বশির জোমাদ্দার। এ সময় নাতনীদের রক্ষা করতে গেলে হামলার স্বীকার হয় নানা সেকান্দার আলী জোমাদ্দার।
Leave a Reply